সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে আবারো ব্যবহারকারির তথ্য দিয়েছে গুগল। গত বৃহস্পতিবার গুগলের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতি ছয় মাস অন্তর গুগল এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। এ প্রতিবেদনে গুগলের কাছে তথ্য চেয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে যে অনুরোধ পাঠানো হয় এবং তার প্রেক্ষিতে যে তথ্য গুগল সারকারগুলোকে দেয় তা জনগণকে জানানো হয়।
২০০৯ সাল থেকে গুগল এ ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করা শুরু করে।
গুগলের প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গুগলের কাছে বাংলাদেশ থেকে এ বছরের প্রথম ছয় মাসে আটটি অনুরোধ যায়। এ আটটি অনুরোধে মোট ৯টি পৃথক অ্যাকাউন্টের বিপরীতে তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।
গুগল জানিয়েছে তার মধ্যে ২৫ শতাংশ তথ্য তারা বাংলাদেশ সরকারকে সরবরাহ করেছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এ অনুরোধগুলো জানানো হয়েছে।
গুগল দাবি করেছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার হার বেড়েছে। বাংলাদেশ প্রথম তথ্য চেয়েছে ২০১৫ সালে। সে বছর জুলাই থেকে ডিসেম্বরে সাতটি অনুরোধ পাঠায়। যাতে ১৩টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দুটি অনুরোধে তিনটি অ্যাকাউন্ট ও জুলাই থেকে ডিসেম্বরে তিনটি অনুরোধে তিনটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।
গুগল আরো জানিয়েছে, বিভিন্ন দেশের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সরকার ও সরকারি সংস্থা এবং আদালত তাদের কাছে তথ্য চেয়ে থাকে।
গুগল কর্তৃপক্ষের দাবি, তারা পর্যালোচনা করে তাদের নীতিমালা অনুয়ায়ী সংশ্লিষ্ট দেশকে সেসব তথ্য দিয়ে থাকে।
গুগলের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের প্রথমার্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার হার আগের তুলনায় বেড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গুগলের কাছে ৮৩ হাজার ৩৪৫ টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে ৪৮ হাজার ৯৪১টি অনুরোধ পেয়েছে। এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য দিতে হয়েছে গুগল।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এসএফ