২৯৩ রানের বিশাল লক্ষ্য। এই লক্ষ্য পাড়ি দিতে গিয়ে না আবার হোঁচট খায় বাংলাদেশ! কিন্তু পঁচা শামুকে আর পা কাটলো না টাইগারদের। ২৯৩ রানের এই বিশাল লক্ষ্য হেসে-খেলেই পাড়ি দিয়েছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক আয়ারল্যান্ডকে টাইগাররা হারিয়েছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
আগের দুই ম্যাচের মত এই ম্যাচেও ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় অনায়াসে জয় এসে ধরা দিয়েছে মাশরাফিদের মুঠোয়। তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের দুর্দান্ত ব্যাটিংই ৬ উইকেটের বিশাল জয় উপহার দিয়েছে বাংলাদেশকে।
প্রথমে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড এ ম্যাচে ২৯২ রান তোলে। আইরিশ ওপেনার পল স্টার্লিং ক্যারিয়ার সেরা ১৩০ রানের ইনিংস খেলেন। উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড খেলেন ৯৪ রানের ইনিংস। তাদের ব্যাটে ভর করে বড় রান তোলে স্বাগতিকরা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের দুই ওপেনার দারুণ শুরু করেন। তারা তোলেন ১১৭ রান। তামিম ফিফটি করে ৫৭ রানে আউট হন। এরপর লিটন দাস খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। লিটন এ ম্যাচে সৌম্য সরকারের বদলে দলে আসেন। জায়গা পেয়েই তিনি বুঝিয়ে দিলেন বিশ্বকাপের দলে জায়গা পেতে তিনিও প্রস্তুত। আউট হওয়ার আগে তিনি নয়টি চার এবং একটি ছক্কা হাঁকান।
এরপর ব্যাটে নেমে সাকিব এবং মুশফিক ভালো শুরু করেন। তাদের জুটিতে দল জয়ের কাছে চলে আসে। কিন্তু মুশফিক এ ম্যাচেও দারুণ শুরু করে ৩৫ রান করে আউট হন। ওদিকে ফিফটি করেই ইনজুরিতে পড়েন সাকিব। তিনি রিটায়ার হয়ে ফিরে যান ৫০ রানে।
সাব্বিরকে রেখে মোসাদ্দেককে ব্যাটে পাঠনো হয়। তিনি ১৪ রান করে আউট হন। তবে মাহমুদুল্লাহ ৩৫ এবং সাব্বির ৭ রান করে দলকে জিতিয়ে ফেরেন। এ জয়ে গ্রুপে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠল টাইগাররা।
বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে মন কাড়া বোলিং করেন আবু জায়েদ। তিনি ৯ ওভারে ৫৮ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। ২০১৫ সালের নভেম্বরের পর কোন বাংলাদেশী পেসারের পাঁচ উইকেট এটিই প্রথম। এছাড়া রুবেল হোসেন একটি এবং সাইফউদ্দিন শেষ ওভারে দুই ব্যাটসম্যানকে বোল্ড করেন।