রাজশাহীর আম দেশ সেরা। তাই এই আমের অপেক্ষায় থাকেন সারাদেশের রসনা বিলাসী মানুষ। এবার অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ক আম পেড়ে যাতে কেমিক্যাল ও ফরমালিন দিতে না পারে এজন্য প্রশাসনের কঠোর নজরদারি আছে। কেমিক্যাল ব্যবহার প্রতিরোধে আম নামানোর সময় বেধে দেয়া হয়। সেই বেধে দেয়া সময় অনুযায়ী আজ থেকে শুরু হচ্ছে রাজশাহী অঞ্চলে আম পাড়া।
জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের বলেন, রাজশাহীর আমে কখনও ফরমালিন মেশানো হয় না। কৃত্রিমভাবেও আম পাকানো হয় না। কিন্তু যখন বাজারে অনেক আগে কিংবা পরে আম পাওয়া যায়। তখন অনেকেই মনে করেন, আমে কেমিক্যাল দেয়া আছে। ক্রেতাদের এই ভীতি দূর করতেই আম পাড়ার একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী ১৫ মের পরে নামানো যাবে গুটি আম। আর ২০ মে’র আগে গাছ থেকে নামানো যাবে না গোপালভোগ। লক্ষণভোগ ও লখনা নামানো যাবে ২৫ মে এবং হিমসাগর ও খিরসাপাত ২৮ মে’র পর। এছাড়া ৬ জুনের পর নামানো যাবে ল্যাংড়া ও বোম্বায়। আর ফজলি, সুরমা ফজলি ও আমরুপালি ১৬ জুন এবং আশ্বিনা আম ১ জুলাইয়ের আগে চাষিরা গাছ থেকে নামানো যাবে না।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে প্রায় ২ লাখ ১৮ হাজার মেট্রিকটন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। তাপদাহ কেটে গেলে আর নতুন কোনো প্রকৃতিক দুর্যোগ না এলে এই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কোনো সমস্য হবে না বলেও মত দেন কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।