সাব্বির রহমান একটু আফসোস করতে পারেন। সবার ব্যাটিং অনুশীলন হলো। ঠিক মতো হলো না কেবল তার! সাব্বিরও নামলেন এ ম্যাচে। তবে শরীরের আড়ষ্টতাও কাটল না তার। টপের ছয় ব্যাটসম্যানের ছোট বড় অবদানে ৫ উইকেটের সহজ জয় পেল বাংলাদেশ। গ্রুপ সেরা হয়ে উঠল ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বুধবারের ম্যাচ তাই নিয়ম রক্ষার।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে শুরুর চার ব্যাটসম্যান দলকে জয় এনে দেন। এ ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ এবং মিঠুনও ঝালিয়ে নিলেন ব্যাটিং।
সোমবার সিরিজে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় উইন্ডিজের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। জিতলেই ফাইনাল নিশ্চিত। এমন সমিকরণকে সামনে রেখে মাঠে নামে টাইগাররা। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৪৭ রানে থামে ক্যারিবীয়দের ইনিংস।
২৪৮ রানের জবাবে ৫ উইকেটে হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ দল। টাইগারদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক। এছাড়াও ৫৪ রান আসে সৌম্য সরকারের ব্যাট থেকে। দলের জয়ে ৪৩ রান করে ভূমিকা রাখেন মিঠুনও।
এর আগে দলীয় ৫৪ রানে ভাঙে বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের ৮.৪ ওভারে অ্যাশলে নার্সের বলে এগিয়ে খেলতে গেলে বোল্ড হয়ে ফিরতে হয় তামিমকে। আগের ম্যাচে ৮০ করা তামিম এদিন ব্যক্তিগত ২১ রানে সাজ ঘরে ফিরেন।
তামিমের বিদায়ের পর সাকিব সৌম্য জুটি গড়েন। কিন্তু সে জুটি বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। সহজ ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন সাকিব। ওই ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ফিরে গেলেন সৌম্য সরকার। অ্যাশলে নার্সের শিকার দুজনই। ২১তম ওভারের তৃতীয় বলে সাকিবকে আউট করার পর ক্যারিবিয়ান স্পিনার পঞ্চম বলে আউট করেছেন সৌম্যকে।
শুরুটা দারুণ করেছিলেন আগের ম্যাচে হার না মানা হাফসেঞ্চুরির ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করা সাকিব। তবে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ফিরতি ম্যাচে ভালো শুরু করেও ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না তিনি।
অ্যাশলে নার্সের বলে শর্ট কাভাবে সহজ ক্যাচ দিয়েছেন সাকিব। ৩৫ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৯ রান করা বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের ক্যাচটি নিয়েছেন রোস্টন চেস। তার আউটের পরপরই ফিরে গেছেন সৌম্য। টানা দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। ৬৭ বলে ৪ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় সাজানো সম্ভাবনাময় ইনিসটি শেষ হয় ৫৪ রানে। নার্সের বলে লেগ সাইডে ধরা পড়েন তিনি সুনিল অ্যামব্রিসের হাতে।