উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের আর্লি চাইল্ডহুড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। একাধারে যিনি একজন সফল মডেল, অভিনেত্রী ও গায়িকাও বটে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করেন। এর পর থেকে তার পৃথিবী জুড়ে কেবল একটাই নাম মেয়ে, আয়রা।
প্রায়ই দেশের বাইরে যেতে হয় মিথিলাকে। কখনো আয়রা সঙ্গে থাকে, কখনো একা। ছয় বছরের আয়রাকে তখন থাকতে হয় নানা-নানির কাছে। মূলত ছুটির দিনগুলোতে শুটিং ও উপস্থাপনার কাজগুলো করেন তিনি। তবে সবকিছুর মাঝেই মেয়েকে নিয়ে তার যত ভাবনা।
মিথিলা বলেন, ‘আমার পৃথিবীটাই আমার মেয়ে। অভিনয়, উপস্থাপনা, চাকরি—সবকিছুর মাঝে মাথায় থাকে মেয়ের কথা। দেশের বাইরে যেতে হলে, তার কথা মাথায় রেখেই শিডিউল করি। আমাদের মা-মেয়ের একটা রুটিন আছে। একসঙ্গে ঘুরে বেড়াই, খাইদাই। বাসায় নানা কাজের ফাঁকে আমরা গল্প করি।’
টেলিভিশনের আরেক অভিনয়শিল্পী আজমেরী বাঁধন। তার সংগ্রাম শুরু হয় বিয়ের ঠিক পর থেকেই। বাঁধন বলেন, ‘সন্তান পেটে আসার পর থেকেই আমার যুদ্ধ শুরু। আমার সন্তানও তাল মিলিয়েছে সেই যুদ্ধে। সবকিছুকে ছাপিয়ে সন্তানকে নিয়েই ভেবেছি। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অনুভূতি আমার সন্তান।’
যখন শুটিংয়ে ব্যস্ত সময় কাটাতে হতো বাঁধনকে। মাসের প্রায় ২০ দিন শুটিংয়ে সময় পার করতেন তিনি। দিনে হয়তো একবারই দেখা হতো দুজনের। সকালে স্কুলে নামিয়ে দিয়ে যেতেন, রাতে বাড়ি ফিরে দেখতেন, মেয়ে ঘুমাচ্ছে। নানা-নানির কাছেই থাকতে হতো তাকে।
বাঁধনের সন্তানের বয়স এখন সাড়ে সাত বছর। সে এখন মায়ের সংগ্রামকে উপলব্ধি করতে শুরু করেছে।