উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জস বাটলারের ৫৫ বলে অপরাজিত ১১০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে পাকিস্তানের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১২ রানে জিতেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। প্রথম ওয়ানডে বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যাওয়ার পর এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল ইংলিশরা।
শনিবার সাউদাম্পটনে প্রথমে ব্যাট করার সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগায় ইংল্যান্ড। দুই ওপেনার জ্যাসন রয় ও জনি বেয়ারস্টো ১৯ ওভারে ১১৫ রানের জুটি গড়েন। ৪৫ বলে ৫১ রান করে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন বেয়ারস্টো।
আরেক ওপেনার জ্যাসন রয় সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়েও ৮৭ রানে থেমে যান। ৯৮ বল মোকাবেলায় ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে হাসান আলীর বলে ইমাদ ওয়াসিমের ক্যাচে পরিণত হন তিনি। দুই ওপেনার হাফ-সেঞ্চুরি পেলে, তিন নম্বরে নামা জো রুট ৪০ রানে শিকার হন স্পিনার ইয়াসির শাহর।
ইনিংসের ৩৬তম ওভারের প্রথম বলে তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ২১১ রানে আউট হন রুট। এরপর পাকিস্তানের বোলারদের উপর চড়াও হন অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান ও বাটলার। ইনিংসের শেষ ৮৯ বলে ১৬২ রান যোগ করেন তারা।
মরগ্যান ৬টি চার ও ১টি ছক্কা ৪৮ বলে অপরাজিত ৭১ রান ও বাটলার ৬টি চার ও ৯টি ছক্কায় ৫৫ বলে অপরাজিত ১১০ রান করেন। পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী ও ইয়াসির শাহ ১টি করে উইকেট নেন।
জয়ের জন্য ৩৭৪ রানের বিশাল টার্গেটে শুরুতেই ৯২ রানের জুটি পায় পাকিস্তান। ওপেনার ইমাম-উল-হক ৩৫ রানে আউট হলেও, ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন আরেক ওপেনার ফখর জামান। শেষ পর্যন্ত ১২টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১০৬ বলে ১৩৮ রান করে আউট হন জামান।
এরপর বাবর আজম ৫১ ও আসিফ আলী ৫১ রান করে পাকিস্তানের জয়ের আশা ধরে রাখেন। কিন্তু শেষদিকে পাকিস্তানের প্রয়োজনীয় রান রেট বেড়ে যায়। যা পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা তুলতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৩৬১ রান করে ম্যাচ হারে পাকিস্তান। অধিনায়ক সরফরাজ ৩৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংল্যান্ডের উইলি ২ উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ইংল্যান্ডের জস বাটলার।