মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস রক্ত মিশিয়ে বিক্রি, ধরে ফেললেন ম্যাজিস্ট্রেট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় গরুর মাংসের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বের হয়ে হয়ে এসেছে ভয়ঙ্কর চিত্র। মেয়াদোত্তীর্ণ মাংসকে তাজা বলে চালানোর জন্য গরুর পুরোনো রক্ত মেশানো হতো মাংসে। আর মহিষের মাংসকে ক্রেতার কাছে বিক্রি করা হতো গরুর মাংস বলে।

শুক্রবার সকালে উপজেলার সড়ক বাজারে মাংসের দোকানগুলোতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম শরিফুল হক ক্রেতা সেজে এ অভিযান চালিয়ে ফ্রিজ থেকে বোতল ভর্তি গরুর পুরোনো রক্ত জব্দ করেছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক ক্রেতা সেজে সড়ক বাজার এলাকার সবকটি গরুর মাংসের দোকান ঘুরে দাম এবং মান পর্যবেক্ষণ করেন। পরবর্তীতে আখাউড়া থানা পুলিশ ও স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হয় দোকানগুলোতে। দোকানগুলোর রেফ্রিজারেটর খুলতেই সবার চোখ যেন ছানাবড়া! ফ্রিজে বোতলজাত করে রাখা হয়েছে গরুর পুরোনো রক্ত। পরে বোতলভর্তি রক্ত জব্দ করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস সংরক্ষণ এবং গরুর নামে মহিষের মাংস বিক্রি ও মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার আইনে ওইসব দোকানগুলোকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস জব্দ এবং তৎক্ষণিক জরিমানা আদায় করা হয়।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল হক বলেন, পরবর্তীতে এসব অপরাধের প্রমাণ পেলে কঠিন শাস্তির ব্যাপারে দোকান মালিকদের সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ ধরণের অভিযান পুরো রমজান মাসজুড়ে চলবে।

Scroll to Top