সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়েছে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীর মরদেহ। দেশটির রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে মরদেহ ঢাকায় এসে পৌছায়। এ সময় সঙ্গে ছিলেন সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জাতীয় সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। শুরু থেকেই তিনি প্রখ্যাত এ শিল্পীর চিকিৎসার বিষয়টি সমন্বয় করছিলেন।
গত ৩০ এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুবীর নন্দী। মারা যান মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে। বহুদিন ধরে তিনি দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিচ্ছিলেন। গত ২২ দিনে তিনি তিনবার হার্ট অ্যাটাক করেন।
সুবীর নন্দীর প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয় গত ১৪ এপ্রিল ঢাকার সিএমএইচে ভর্তির দিনে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য শিল্পীকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে গত শনি ও রবিবার দুইদিন তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এর পরের দিন পেরিয়ে মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
বর্তমানে সুবীর নন্দীর মরদেহ রয়েছে তার দীর্ঘদিনের আবাসস্থল গ্রিন রোডের গ্রিন ভিউ অ্যাপার্টমেন্টে। এখান থেকে বেলা ১১টার দিকে মরদেহ নেয়া হবে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্থরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন।
শহীদ মিনার থেকে মরদেহ নেয়া হবে রাজধানীর গোপীবাগে অবস্থিত রামকৃষ্ণ মিশনে। এরপর দুপুরের দিকে সবুজবাগে বরদেশ্বরী কালীমন্দির ও শ্মশানে একুশে পদকপ্রাপ্ত সুবীর নন্দীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৪ এপ্রিল সিলেটে এক আত্মীয় বাড়িতে অনুষ্ঠান শেষ করে ট্রেনযোগে ঢাকায় ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এ শিল্পী। ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নামিয়ে তাকে সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পরে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর দ্রুত তাকে লাইফ সাপোর্টের নেন চিকিৎসকরা।
সিএমএইচে ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সুবীর নন্দীকে ৩০ এপ্রিল নেয়া হয় সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে। ওইদিনিই তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু উন্নত দেশের উন্নত চিকিৎসায়ও ফেরানো গেল না তাকে। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।