স্বামী কাজের মেয়েকে বিয়ে করার খবরে মাগুরায় বিষ পানে সাবিকুন্নাহার রূপা নামে এক আইনজীবীর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি মাগুরা আনইজীবী সমিতির সদস্য এবং জেলা জজ আদালতে আইন পেশায় সম্পৃক্ত ছিলেন। নিহত সাবিকুন্নাহার রূপা সোমবার ভোরে শহরের পারনান্দুয়ালী এলাকায় স্বামীর বাড়িতে বিষপান করেন।
নিহতের ভাই বাবু মোল্লা জানান, প্রায় ১০ বছর আগে রূপার সঙ্গে পারনান্দুয়ালী এলাকার তমাল মাহমুদের বিয়ে হয়। সম্প্রতি রূপা অভিযোগ করেন, তার স্বামী গোপনে বাড়ির কাজের মেয়েকে বিয়ে করেছেন। রোববার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর সোমবার ভোরে স্বামীর বাড়িতে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এসময় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুপুর দেড়টার দিকে রূপার মৃত্যু হয় ।
বাবু মোল্লা বলেন, ‘আমার বোনকে হত্যার মুখে ঠেলে দেওয়ার অপরাধে রূপার স্বামী তমালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. সাজিদুর রহমান সংগ্রাম রূপার পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন, স্বামীর প্ররোচনায় রূপা আত্মহত্যা করেছেন। এ ব্যাপারে জেলা আইনজীবী সমিতির পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। তবে আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ আসলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া করা হবে।’
এ বিষয়ে নিহতের স্বামী তমাল মাহমুদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে রূপার মরদেহ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।