রাজধানীর হাতিরঝিল লেকের পাড়ে অবৈধভাবে নির্মাণ করা বিজিএমইএ ভবন সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এখন রাজউকের অনুমতি ছাড়া কেউ ভবনটিতে ঢুকতে পারবে না। ভবনটি শিগগির ভাঙা হবে।
চিফ ইঞ্জিনিয়ার এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌসের নেতৃত্বে রাজউকের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার পর ভবনটি সিলগালা করে দেন।
রায়হানুল ফেরদৌস জানান, ভবনটির মালামাল সরানোর জন্য প্রথমে বিকাল পাঁচটা, পরে তা বাড়িয়ে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। এর মধ্যে বেশির ভাগ মালামাল সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অল্প কিছু মালামাল রয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে সংশ্লিষ্টরা এসব মালামাল নিতে পারবেন।
এ সময় রাজউকের পরিচালক (প্রশাসন) খন্দকার অলিউর রহমান বলেন, ‘আজকে আমরা ভবন সিলগালা করলাম। আমাদের আজকের কার্যক্রম স্থগিত। ভবনের অধিকাংশ মালামাল অপসারণ করা হয়েছে। যে মালামালগুলো রয়ে গেছে তা সরিয়ে নিতে রাজউকের কাছে আবেদন করা যাবে। রাজউক অনুমতি দিলে তারা সেগুলো অপসরণ করতে পারবে। তবে অনুমতি ছাড়া কেউ ভবনে প্রবেশ করতে পারবে না।’
মালামাল সরানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিজিএমইএর পক্ষ থেকে মালামাল সরানোর বিষয়ে আবেদন করতে পারে। আমার মনে হয় রাজউক হয়তো একদিন সময় দেবে।’
কবে থেকে এই ভবন ভাঙতে পারেন এমন প্রশ্নের সুস্পষ্ট উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তী সময়ে এ বিষয়ের সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
এর আগে সকালে ১৬ তলা ভবনটি ভাঙতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সদস্য নিয়ে ভবনটির সামনে অবস্থান নেয় রাজউক কর্মকর্তারা। পরে ভবনে যেসব প্রতিষ্ঠান আছে তারা সরঞ্জাম সরাতে সময় চাইলে প্রথমে তাদের দুই ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। এই সময়ের মধ্যে মালামাল সরাতে ব্যর্থ হলে পরে আরও এক ঘণ্টা সময় বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফাতেও মালামাল পুরোপুরি না সরায় বিকাল পর্যন্ত সময় দেয়া হয়। পরে আরেক দফা সময় বাড়ানো হয়।
রাজউক জানিয়েছে, সিলগালা করার পর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। খুলে নেওয়া হবে গ্লাসগুলো। এরপর ডিনামাইট ডেমোলেশনের মাধ্যমে ভবনটি ভেঙে ফেলা হবে।
কয়েক বছর আগে বিজয় সরণিতে র্যাং গস ভবন ভাঙতে গিয়ে বেশ কয়েকজন শ্রমিকের প্রাণহানির ঘটনা স্মরণ করে এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে চীনা প্রকৌশলীদের সহযোগিতা নেওয়া হবে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হবে। তবে এখানে বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয় আছে, তেমনিভাবে ম্যানেজমেন্টের বিষয়ও আছে।