সাত বছর লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে শরণার্থী আশ্রয়ে থাকার পর গ্রেফতার করা হয়েছে উইকিলিকস-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে (৪৭)। বৃহস্পতিবার (১১এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম বিবিসি একথা জানায়।
যৌন হয়রানির অভিযোগে সুইডেনে গ্রেফতার এড়াতে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে ২০১২ সালে আশ্রয় নেন অ্যাসাঞ্জ। তবে ইকুয়েডরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট লেনিন মোরেনো বলেছেন, তার দেশ অ্যাসাঞ্জের শরণার্থী মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাই অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয় লন্ডন পুলিশের।
অ্যাসাঞ্জকে এখন সুইডেন অথবা যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ করা হতে পারে। কারণ যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ তথ্য চুরিরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের প্রতিক্রিয়ায় উইকিলিকস বলেছে, ইকুয়েডর যা করেছে তা বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক নিয়মবহির্ভূত।
এদিকে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভেদ টুইটারে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমি সহযোগিতার জন্য ইকুয়েডরকে ধন্যবাদ জানাই। প্রশংসা করি মেট্রো-পুলিশের পেশাদারিত্বের। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়।
অবাধ তথ্যে প্রবাহে বিশ্বাসী অস্ট্রেলীয় নাগরিক অ্যাসাঞ্জ বিকল্পধারার সংবাদমাধ্যম উইকিলিকস প্রতিষ্ঠা করেন ২০০৬ সালে। তবে সংগঠনটি আলোচনায় আসে ২০১০ সালে ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের স্পর্শকাতর তথ্য প্রকাশ করে। যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তীতে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। অ্যাসাঞ্জের আশঙ্কা, যুক্তরাজ্য তাকে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সমর্পণ করলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে।