আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া ফেনীর ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। লাশবাহী গাড়িতে করে তার মরদেহ পৌঁছানোর আগে থেকেই সেখানে এলাকার মানুষজন জমায়েত হয়ে ছিলেন। নুসরাতের মরদেহ পৌঁছানোর পর সেখানে হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
শত শত মানুষ নুসরাতের জন্য হাহাকার করতে থাকেন। কান্নার রোল পড়ে যায় চারিদিকে। আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে এলাকার মানুষের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে সেখানকার পরিবেশ।
আগে থেকেই জানানো হচ্ছিল, আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর সোনাগাজী মো. ছাবের সরকারী পাইলট হাইস্কুল মাঠে নুসরাত জাহান রাফির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশে নুসরাতকে সমাহিত করা হবে। তবে নুসরাতের মরদেহ সেখানে পৌঁছাতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
নুসরাতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। তার ময়নাতদন্তের জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। গত বুধবার রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।
আজ বৃহস্পতিবার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক প্রদীপ বিশ্বাস গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন, ময়নাতদন্তের পাশাপাশি রাফির মরদেহ থেকে ডিএনএ নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী ও আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
