ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফেনীর পরীক্ষা কেন্দ্রে দগ্ধ মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির লাশ। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নুসরাতের লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) থেকে রওয়ানা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নুসরাতের লাশ মর্গে নেয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য। তার আগে নুসরাতের সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে পাঁচ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যায় নুসরাত। সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ছাত্রী ও আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে দাদির কবরের পাশেই দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর সোনাগাজী মো. ছাবের সরকারী পাইলট হাই স্কুল মাঠে নুসরাত জাহান রাফির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। জানাযা শেষে পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের ভূঁইয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নুসরাতের চাচাতো ভাই মোহাম্মদ উল্লাহ ফরহাদ।
২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে রাফিকে যৌন হয়রানি করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা। এ ঘটনায় তার মা শিরিন আক্তারের দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করতে নানাভাবে চাপ দেয়া হয়। গত ৬ এপ্রিল শনিবার পরীক্ষার হল থেকে তার এক বান্ধবীকে মারা হচ্ছে বলে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় আরেক সহপাঠি। পরে তাকে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে প্রেরণ করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুর পাঠানোর নির্দেশ দিলেও স্বাস্থ্যের অবনতিতে তা সম্ভব হয়নি।
আলোচিত এ ঘটনায় সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাফির ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলাসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত তিন আসামিসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে সাতজনকে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।