আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের ৮ নম্বর কক্ষে ফিকহ্ ২য় পত্রের পরীক্ষা চলছে। সবাই পরীক্ষায় দিচ্ছে শুধু নেই নুসরাত জাহান রাফি। খালি পড়ে রয়েছে তার সিটটি। নুসরাতের রোল নম্বর ১৪৯৬১৪। এই আসনে বসে আর পরীক্ষা দেওয়া হবে না। গতকাল রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে সবাইকে কাদিতে চির বিদায় নিয়ে চলে গেছেন নুসরাত।
সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রের সচিব নূরুল আফছার ফারুক জানান, আজ সকালে পরীক্ষা দিয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন নুসরাতের সহপাঠীরা। কোনোভাবেই তারা নুসরাতের অকাল মৃত্যুকে মেনে নিতে পারছেন না।
পরীক্ষার্থীদের মতো আমরা তার এই অকাল প্রয়াণ মেনে নিতে পারছি না। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আমিন বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি নুসরাত অন্যায়ের প্রতিবাদী ও মেধাবী একজন ছাত্রী। তার এই মৃত্যুতে আমরা প্রচণ্ড শোকাহত।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে বোরকা পরা ৪/৫ ব্যক্তি তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।