স্কুলজীবনে ক্লাসে কখনও তিনি সেকেন্ড হননি। ছিলেন ক্লাস ক্যাপ্টেন। ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে পেয়েছেন ট্যালেন্টপুল বৃত্তি। এইচএসসি পরীক্ষায় ঢাকা কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ ৫ পান তিনি। এইচএসসি পাসের পর চান্স পেয়েছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েটে)। কিন্তু তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
কুয়েট, চুয়েট, বুটেক্সে চান্স হলেও কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং তার প্রিয় সাবজেক্ট হওয়ায় তিনি ভর্তি হন ঢাবিতে। এতেও তার মন টেকেনি। কারণ তার স্বপ্ন ছিল সেনা অফিসার হবেন। তাই ঢাবিতে ভর্তির ৩ মাসের মাথায় তিনি ভর্তি হন চট্টগ্রামের মিলিটারি একাডেমিতে। সেখানে ভালো ফলাফল করে কুদরত-এ-খোদা স্বর্ণপদক ও ওসমানী স্বর্ণপদক জয় করে নেন তিনি। বিএসসি শেষ করে সেনা বাহিনীর অফিসার হন।
তুখোর মেধাবী মো. হালিমুল হারুন লিটনের গল্প এটি। টাঙ্গাইলের এই তুখোড় মেধাবী ছেলেটির গল্প এখানেই শেষ নয়। সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে অকালীন অবসরে যান তিনি। আবারও ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন প্রোগ্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এমবিএতে।
এদিকে সেনাবাহিনী অবসরে যাওয়ায় অনেক কটূ কথা শুনতে হয়েছে তাকে। তবে তিনি দমে যাননি। যোগ দেন বেসরকারি ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার পদে। ওই মেধাবী ছাত্রের বয়স তখনও ৩০ পার হয়নি। তাই সিদ্ধান্ত নিলেন বিসিএস ক্যাডার হওয়ার। পুলিশ অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখতে থাকেন।
স্ত্রী তানজিনা সুলতানাকে ওয়াদা দিয়েছিলেন, তিনি বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে মেধায় প্রথম দশের মধ্যে থাকবেন। ওয়াদা পালনে সেভাবেই প্রস্তুতি নেন তিনি। অবেশেষে তিনি দেখিয়ে দিয়েছেন। ৩৭তম বিসিএই ছিল তার জীবনের প্রথম বিসিএস। প্রথমবার দেয়া সেই বিসিএসে তিনি পুলিশ ক্যাডারে প্রথম স্থানই অধিকার করেছেন। বর্তমানে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছেন।
সৎ ও যোগ্য অফিসার হিসেবে দেশ ও জনগনের সেবা দিতে চান হালিমুল হারুন লিটন। তার জন্য রইলো শুভকামনা।