কার্যত তিনি ‘রাজা’র জামাই। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাইকে এ উপাধি দেওয়া যেতেই পারে।
তবে তাঁর লিঙ্গটি কী তা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
জেরার্ড কুশনার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভাঙ্কার স্বামী। কিন্তু তিনি আসলে কী। আট বছর ধরে তার ভোট দেওয়ার পরিচয়পত্রে তাঁর লিঙ্গ ‘ফিমেল’ বা ‘নারী’ লেখা আছে। একটি সংবাদ সংস্থা সেই পরিচয়পত্রের ছবি প্রকাশ করার পর দারুণ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কুশনার নানা রকমের কূটনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপন থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সমস্যা সব কিছু নিয়েই তিনি সক্রিয়। এহেন দায়িত্বশীল জামাতা নিজের ফর্ম ফিল আপের ক্ষেত্রে ভীষণরকম কাঁচা। ২০০৯ -র আগে নিউ জার্সির ভোটার কুশনারের লিঙ্গ সম্পর্কিত কলামে লিঙ্গটি ‘অজানা’ বলে লেখা ছিল।
কুশনারের পরিবার অত্যন্ত বিত্তশালী। ট্রাম্পের খুব কাছের লোক এঁরা। এর আগেও ট্রাম্পের বিভিন্ন নিকটস্থরা একাধিক জায়গা থেকে ভোট দেন এরকম প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। কুশনারও এরকম বিভিন্ন পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভোট দিয়ে থাকেন এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০১৬ -র ভোটে এরকম বহু ভোটার ম্যানুপুলেট করেছিলেন নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প।
শুধু জাল পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটাদানই নয়, কুশনারের বিরুদ্ধে সম্প্রতি আরও অভিযোগ উঠেছে মার্কিন ভোটে রাশিয়ার প্রভাব বিস্তার ব্যবহার করানোর জন্য। শুধু এটুকুই নয়, কুশনার নিজের ব্যক্তিগত কাজের জন্য সরকারি মেইল ব্যবহার করেন এরকম প্রমাণ পাওয়া গেছে। সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট
বাংলাদেশ সময়: ১১০৫ ঘণ্টা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/পিকে