বাংলাদেশ ভ্রমণে কেন রেড অ্যালার্ট : যুক্তরাষ্ট্রকে প্রধানমন্ত্রী

বাংলাদেশের সন্ত্রাস সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘সন্ত্রাস শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের সমস্যা। সেখানে বাংলাদেশ ‘‘অত্যন্ত সফলতার’’ সঙ্গে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন করতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্র হঠাৎ করে কেন বাংলাদেশ ভ্রমণে রেড অ্যালার্ট জারি করল জানি না।’

শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভার সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

সন্ত্রাসী হামলার শঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের বাংলাদেশ ভ্রমণ প্রসঙ্গে তাদের কাছে কোনো তথ্য থাকলে সেটা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে দেওয়া তাদের কর্তব্য বলেও জানান।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর থেকে বাংলাদেশে তাদের নাগরিকদের চলাচলের ওপর নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করা হয়। বলা হয়, গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলার ‘‘প্রতিশোধের আহ্বানের আলোকে’’ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের আইএস ও আল-কায়েদার মতো আন্তঃদেশীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিদ্যমান হুমকির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

‘বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, তাদের সহযোগী এবং এসব সংগঠনের দ্বারা উদ্বুদ্ধরা বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা নাগরিকদের ওপর হামলা করতে চায়।’ উগ্রপন্থীরা অনলাইনে অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি পশ্চিমা স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর মতো প্রতিষ্ঠানে হামলার আহ্বান রাখছে বলে দাবি করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতায়।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ দেখলাম আমেরিকা একটা সিকিউরিটি অ্যালার্ট দিয়েছে। কী কারণে অ্যালার্টটা দিল সেটা কিন্তু তারা আমাদের কাছে বলেনি, ব্যাখাও দেয়নি।’

‘যদিও আমি ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি খোঁজ নিতে যে কেন, কী কারণে, তাদের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা। যদি কোনো তথ্য থাকে যে, কোনো ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে তাহলে তাদের একটা দায়িত্ব আছে আমাদের অন্তত সেই বিষয়টা জানানো বা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে অবগত করা। যেন আমরা তা মোকাবেলা করার ব্যবস্থা নিতে পারি।’

বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হঠাৎ আগুন লেগেছে সেখানে, আগুন তো সব দেশেই লাগে। ওই আমেরিকাতেও একটা সার কারখানা থেকে শুরু করে হাসপাতাল সবই পুড়ে শেষ। কতজন মারা গেছে সেই খবরও কেউ জানেনি। এ রকম বহু ঘটনা ঘটেছে। লন্ডনে আগুন লেগে ৭০ জন মারা গেল। আরও যে কত লোক মারা গেছে সেটার হিসেবও নেই। সেখানে হিসেবও হয় না। উদ্ধার কাজও আমাদের মতো এতদিন কেউ চালায় না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাহলে এই অ্যালার্টটা তারা কেন দিল? এটা আমাদের জানার বিষয় যে, কী কারণে দিল। যদি আগামীতে কোনো অঘটন ঘটতে যাচ্ছে এ তথ্য থাকে তবে তাদের দায়িত্ব আমাদের জানানো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সন্ত্রাস একটা সমস্যা। এই সন্ত্রাস শুধু আমাদের দেশে না, সারা বিশ্বের সমস্যা। কিন্তু বাংলাদেশ অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে এই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমন করতে পেরেছে।’

‘একটা ঘটনা ঘটার পর থেকে আমরা যথেষ্ট সজাগ, আমাদের ইন্টেলিজেন্স সব সময় সজাগ। আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তারা সব সময় সতর্ক। যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে প্রত্যেকটা ঘটনা মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছি।

Scroll to Top