বিএনপির মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরির ষড়যন্ত্র হচ্ছে: ফখরুল

বিএনপির মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, এ বিভ্রান্তিতে না পড়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখে আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। এ সরকার গণতন্ত্রকে বিসর্জন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় ষড়যন্ত্র করছে। তাদের রুখতে হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে \’নব্বইয়ের ডাকসু ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যে\’র ব্যানারে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশে গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার যে সংকট চলছে, সেটা শুধু বিএনপির সংকট নয়। এটা জাতির সংকট, রাষ্ট্রের সংকট।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র নিয়ে সরকারের সব ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে। এটা সবার পবিত্র দায়িত্ব। গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, গণবিচ্ছিন্ন হয়ে কোনো আন্দোলন সফল হয় না। সে জন্য জনগণকে সম্পৃক্ত করতে তাদের কাছে যেতে হবে। সাহস দিতে হবে। অন্যায়ের কাছে কখনও ন্যায়ের পরাজয় হতে পারে না। যেটা হয় সেটা সাময়িক। সত্যের জয় হবেই।

দল পুনর্গঠনের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অল্প সময়ের মধ্যেই বিএনপি আবার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে। অনেক ঝড়-ঝঞ্ঝা গেছে, অনেক সমস্যা হয়েছে। তার মধ্যেও বিএনপি উঠে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, অনেকে হতাশায় ভোগেন। হতাশা দিয়ে বিজয় অর্জন করা সম্ভব নয়। এর আগেও বিএনপিকে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। তবে বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে বিএনপি ঠিকই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এখন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সংগঠিত হয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করতে হবে।

সংবাদমাধ্যম নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের সংবাদমাধ্যম এখন নিয়ন্ত্রিত। বিরোধী দলের খবর এখন সবচেয়ে কম ছাপা হয়। তৃতীয় কিংবা চতুর্থ পৃষ্ঠায় ছোট কলামে কোনোভাবে দেওয়া হয়। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কয়েক সেকেন্ড খবর দেওয়া হয়। এতে করে সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারছে।

দলের চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবি জানিয়ে ডাকসুর সাবেক ভিপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য প্রয়োজনে স্বেচ্ছায় কারাবরণ করব। এর মধ্য দিয়ে হয় তাকে মুক্ত করব, না হলে সবাই জেলে থাকব।

বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেনের পরিচালনায় সভায় সাবেক ছাত্রনেতা শামসুজ্জামান দুদু, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ডাকসুর সাবেক জিএস খায়রুল কবির খোকন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, খন্দকার লুৎফর রহমান, আসাদুর রহমান খান, শহীদউদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, কামরুজ্জামান রতন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল বক্তব্য দেন।

Scroll to Top