নোয়াখালীর সুবর্ণচরে এবার পাঁচ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার রাতে চরজুবলী ইউনিয়নের উত্তর বাগ্যা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ওই নারী। তাকে রোববার রাত ১২টা ২০ মিনিটে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ড ভর্তি করা হয় বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম।
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহেদ উদ্দিন জানান, ধর্ষণের অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। এই মুহূর্তে তিনি ঘটনাস্থলে আছেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রাতে সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চার সন্তানের জননী চল্লিশোর্ধ এক নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনা দেশে ব্যাপাক আলোচিত হয়। নির্যাতিতার স্বামী বাদী হয়ে উপজেলার ৫ নম্বর চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৯ জনের নামে মামলা করেন।
রুহুল আমিন সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরজুবলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হানিফ চৌধুরীর আশ্রয়-প্রশ্রয়ে রুহুল আমিন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ধর্ষণের আসামি হওয়ার পর রুহুলকে বহিষ্কার করা হয় দল থেকে।
প্রথমে রুহুল আমিনকে আসামির তালিকা থেকেও বাদ দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন ওই নারী। পরে রুহুল আমিনকেও আসামি হিসেবে গ্রেফতার করা হয় এবং অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা চরজব্বার থানার ওসি নিজাম উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়।