সোনার লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে ব্রাজিল

মেয়েদের ফুটবলে ছয়বার বর্ষসেরা হয়েছেন মার্তা। তবে এই ব্রাজিলিয়ান একবারও অলিম্পিক সোনা জিততে পারেননি। এবারও দলের ছন্দহীনতা ও গ্রুপ পর্বে স্পেনের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখায় দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় জেগেছিল নানা শঙ্কা।

তবে শেষ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনার পদক না জিততে পারার আক্ষেপ মেটানোর সুযোগ পাচ্ছেন মার্তা। মার্শেইয়ে সেমিফাইনালে গতকাল রাতে স্পেনকে ৪-২ গোলে হারিয়ে ২০০৮ সালের পর প্রথমবারের মতো অলিম্পিকে মেয়েদের ফুটবলে ফাইনালে উঠেছে ব্রাজিল। সোনা জয়ের লড়াইয়ে তারা খেলবে রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে। সেমিফাইনালে জার্মানিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে তারা।

মার্শেইয়ে সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে স্পেনই ফেবারিট ছিল। গ্রুপ পর্বে এই স্পেনের কাছে হেরেও ছিল ব্রাজিল। কাল অবশ্য শুরুতেই এগিয়ে যায় লাতিন আমেরিকার দলটি। ৫ মিনিটে স্পেনের ইরেনে পারেদেসের আত্মঘাতী গোলের পর প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গাবি পোর্তিলহো।

স্পেনের হারের হতাশা : সংগৃহিত

৭০ মিনিটে আদ্রিয়ানা ব্যবধান আরও বাড়ান। এরপর ৯০ মিনিটে ব্রাজিলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন কেরোলিন। স্পেনের সালমা পারাইউলোর দুটি গোল স্পেনের শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে। ২০০৪ ও ২০০৮ অলিম্পিকে রুপা মেডেল জিতেছিল ব্রাজিল, দুবারই তারা হেরেছিল যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। ফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচে ফিরবেন মার্তা।

এই ইভেন্টে রেকর্ড চারবারের সোনার পদক জেতা যুক্তরাষ্ট্র জার্মানির বিপক্ষে একমাত্র গোলটি পেয়েছে ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের পঞ্চম মিনিটে ম্যাচের একমাত্র গোল করেন সোফিয়া স্মিথ। গ্রুপ পর্বে এই জার্মানির বিপক্ষেই জোড়া গোল করেছিলেন স্মিথ। যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ সোনার পদক পেয়েছিল ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে। অর্থাৎ, সোনার পদক পুনরুদ্ধারের সুযোগ পেতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

২০২৩ নারী ফুটবল বিশ্বকাপে শেষ ষোলো থেকেই বাদ পড়ে যুক্তরাষ্ট্রকে। সে কারণে এবারের অলিম্পিকে ফাইনালে ওঠা তাদের কাছে বিশেষ কিছু। স্মিথ বলেছেন, ‘আসলে এটা অনেক কিছু আমার কাছে। সব দিক থেকে গত বছরটা কঠিন গেছে। আমার মনে হয় নতুন বছরে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিচ্ছি আমরা কখনো লড়াই ছাড়িনি।’

Scroll to Top