গত ১৪ এপ্রিল আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে সোহাগ সরাসরি কোনো কথা বলেননি। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে নিজের আইনজীবীকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছে সোহাগ। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করার জন্যই এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছেন বলেও জানিয়েছেন সোহাগ। নিজেকে নির্দোষ বললেও অন্য কাউকেই এসব ব্যাপারে দায়ী করেননি তিনি।
সোহাগ বলেন, ‘অনেক বিষয়ে এখনই মন্তব্য করবো না। আন্তর্জাতিক কোর্ট অব স্পোর্টস আব্রিট্রেশনে (সিএএস) আপিল করেছি। এখন মন্তব্য করলে আবার ফিফা বলতে পারে কেন মন্তব্য করলাম। সময় সব কিছুর উত্তর দিয়ে দিবে। আমি আশা করছি, অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে নিজের সম্মান, বাংলাদেশের সম্মান বজায় রাখতে পারব।’
গত ১৪ এপ্রিল আবু নাঈম সোহাগকে সব ধরনের ফুটবল থেকে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এছাড়া বাংলাদেশি মুদ্রায় তাকে প্রায় ১২ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আগে আবু নাঈম সোহাগকে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল ফিফা। সেই জবাব দিতে সশরীরে ফিফার সদর দপ্তর সুইজারল্যান্ডের জুরিখে গিয়েছিলেন তিনি। তবে তার ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হতে পারেনি ফিফা। সংস্থাটির স্বাধীন নৈতিক কমিটির মাধ্যমে দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয় তাকে।
আবু নাঈম সোহাগের বিরুদ্ধ অভিযোগ, বাফুফেকে দেওয়া ফিফার অর্থের খরচ দেখাতে তিনি ভুল ডকুমেন্ট দেখিয়েছেন। ফিফা শুনানি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করেই এই শাস্তি দিয়েছে বলে তাদের বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফিফার সাধারণ আর্টিকেল ১৫ (দায়িত্বে অবহেলা), ১৫ (সততা) ও ২৪ (মিথ্যা তথ্য দেওয়া) ভঙ্গের অভিযোগ তোলা হয়েছে।