বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে ফিফা দুই বছরের জন্য সব ধরনের ফুটবল কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ করেছে। এছাড়া তাঁকে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১২ লাখ টাকা (১০ হাজার সুইস ফ্রাঁ) জরিমানাও করা হয়েছে।
গতকাল ফিফার ওয়েবসাইটে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় এই নিষেধাজ্ঞা ও জরিমানার কথা।
এই শাস্তির কারণ আর্থিক জালিয়াতি। ফুটবলের বৈশ্বিক ফুটবল সংস্থাটি জানিয়েছে, বাফুফেকে দেওয়া ফিফার টাকার হিসাবে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে শাস্তির বিষয়টি জানিয়ে আবু নাঈমকে চিঠি পাঠিয়েছে ফিফা। চিঠির অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ও এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনকে (এএফসি)।
ফিফার স্বাধীন নৈতিকতা বিষয়ক কমিটির অ্যাজুডিকেটরি চেম্বারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘প্রযোজ্য কার্যধারায় তদন্তকারী চেম্বার দ্বারা পরিচালিত তদন্তের সময় সংগৃহীত সাক্ষ্যপ্রমাণের পাশাপাশি শুনানি ও উপস্থাপিত সাক্ষ্যপ্রমাণ যত্ন সহকারে বিশ্লেষণের মাধ্যমে অ্যাজুডিকেটরি চেম্বার নিশ্চিত হয়েছে যে, সোহাগ ২০২০ সালের ফিফা এথিকস কোডের ধারা ১৫ (সাধারণ কর্তব্য), ১৩ (আনুগত্যের দায়িত্ব) ও ২৪ (জালিয়াতি ও মিথ্যাচার) লঙ্ঘন করেছেন।
আবু নাঈম ম্যানেজার কম্পিটিশনস ( ক্লাব এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) হিসেবে ২০০৫ সালে বাফুফেতে যোগ দেন। ২০১১ সালের মে মাসে বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আল মুসাব্বির সাদী মারা গেলে বাফুফে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। প্রায় দেড় বছর পর দুই বছরের জন্য সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর পর ধাপে ধাপে মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালের জুনে আরও দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পান।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে একাধিকবার আবু নাঈম সোহাগকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।