লিওনেল মেসির ‘আরবীয় পোশাক’ প্রশংসিত আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যমে

নানা কারণে কাতারে অনুষ্ঠিত এবারের ফিফা বিশ্বকাপকে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যম বিতর্কিত করার চেষ্টা করেছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম দেশটি সবাইকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সফলভাবে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করেছে। পুরো আসরজুড়ে গঠনমূলক কোনো ত্রুটি খুঁজে না পেয়ে অবশেষে ফাইনাল ম্যাচের পর সর্বকালের সেরা ফুটবলার মেসিকে কাতারের আমিরের দেয়া বিশেষ ‘আরবীয় পোশাক’ নিয়ে বিতর্কের অপচেষ্টা চালিয়েছে তারা। তবে পশ্চিমা গণমাধ্যম যে, অযথাই মুসলিম দেশটির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে, তা আবারো প্রমাণিত হলো। কেননা, যেই পোশাক নিয়ে তাদের এত ‘মাথাব্যথা’, সেই পোশাকের প্রশংসা করছে খোদ আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম।

‘বিশত’ নামে সুপরিচিত আরব মুসলিমদের ওই পোশাক নিয়ে আর্জেন্টিনার পত্রিকা তেলাম লিখেছে, ‘বিশ্বকাপ শিরোপা নেয়ার সময় মেসিকে যে বিশত দেয়া হয়েছে, এটি কাতার ও আরব সংস্কৃতির অংশ। লাতিন আমেরিকার সংস্কৃতিতে কাউকে সম্মান করতে যেমন চাবি দেয়া হয়, আরবে বিশত দেয়া হয়।’

লস আন্দেস নামে একটি সংবাদমাধ্যম লিখেছে, ‘কাতারের আমির যে পোশাক পরে আছেন, মেসিকে তিনি সেই একই পোশাক পরিয়ে দিয়েছেন।’ অর্থ্যাৎ বিষয়টিকে তারা নিজেদের জন্য গর্বের মনে করছেন।

এছাড়া কাতারে আর্জেন্টাইন ভক্তরা বিশত কিনছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে।

অবশ্য এ বিষয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমকে ছেড়ে কথা বলেননি অনলাইনে সক্রিয়রা। বরং অনেক ইউরোপীয়ও বিষয়টিকে সুনজরে দেখেছেন। টার্বো নামের এক পশ্চিমা টুইটার অ্যাকাউন্টে ব্রাজিলের তিনবারের বিশ্বজয়ী ফুটবলার পেলের একটি ছবি প্রকাশ করেছেন। ছবিটি ১৯৭০ মেক্সিকো বিশ্বকাপের। সেবার বিশ্বকাপ জয়ের পর পেলের মাথায় পরিয়ে দেয়া হয়েছিল মেক্সিকান হ্যাট।

ছবিটির নিচে লেখা হয়েছে, ‘১৯৭০ সালে মেক্সিকো যখন বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল তারা শিরোপাজয়ী পেলের মাথায় মেক্সিকান হ্যাট পরিয়ে দিয়েছিল। আর মিডিয়া এটিকে সাংস্কৃতিক সহবস্থান হিসেবে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু যখন কাতার এটি করল তখন ভণ্ড পশ্চিমারা উন্মাদ হয়ে গেছে, আর দ্বিমুখী মনোভাব দেখানো শুরু করেছে।’